শীতে বিক্রি বেড়েছে ‘গরিবের মার্কেটে’| শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন | ট্রাক্টরচাপায় প্রাণ গেল ভারতীয় নাগরিকের | যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

চিকিৎসক পদ ১৩, আছেন ১ জন !

ডেস্ক রিপোর্ট   

আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০

fb tw ln

বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন চিকিৎসকের জায়গায় বর্তমানে আছেন মাত্র একজন। এ কারণে ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন চিকিৎসকের জায়গায় মাত্র দুজন চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন। তাঁরা জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। গত ৩১ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুস্তুম আলী অন্যত্র বদলি হয়ে যান। বর্তমানে চিকিৎসা কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান এখানে কর্মরত
আছেন।


৯ ফেব্রুয়ারি তিনি পাঁচ দিনের ছুটিতে গেছেন। মোখলেসুর রহমান জানান, ‘মায়ের অসুস্থতার জন্য আমি ছুটি নিয়েছি। আগামী রোববার ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রশিক্ষণ আছে। সেটি শেষ করে কর্মস্থলে যোগ দেব। বর্তমানে আমতলী উপজেলা থেকে একজন চিকিৎসককে সেখানে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি যোগদান না করা পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থাকবেন।’ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৭৫ জন রোগী ভর্তি থাকেন এবং বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১৭০-১৮০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এ ছাড়া জরুরি বিভাগে আরও ৪০-৪৫ জন রোগী চিকিৎসা নেন। একজন চিকিৎসকের পক্ষে এত রোগীর চিকিৎসা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ১৫০-১৬০ জন রোগী বহির্বিভাগে এসেছেন। কিন্তু চিকিৎসক-সংকটের কারণে অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আফরোজা বেগম নামের বাসন্ডা গ্রামের এক গৃহবধূ জানান, তিন-চার দিন ধরে জ্বরে ভোগার পর তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। পরে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিতে হয়েছে তাঁকে। জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সাগর দত্ত নামের একজন কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট) চিকিৎসা দিচ্ছেন। রোগীর ভিড়ে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। সাগর দত্ত বলেন, ‘এখানে দিন-রাত বলে কিছু নেই। সব সময়ই এখানে বসে থাকতে হয় এবং চিকিৎসা দিতে হয়। একজন চিকিৎসক থাকলেও তিনি ছুটিতে। তাই ১০ ফেব্রুয়ারি অপর একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ সিভিল সার্জন এ এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, মোখলেসুর রহমান ছুটিতে যাওয়ায় আমতলী থেকে একজন চিকিৎসককে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক-সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু বেতাগী উপজেলা নয়, গোটা জেলাতেই চিকিৎসক-সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জেলায় দুই বছর ধরে কোনো গাইনি চিকিৎসক নেই। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা কর্মকর্তার বেশির ভাগ পদই শূন্য। এ কারণে চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আমরা প্রতি মাসেই এসব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাচ্ছি। কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না।

No comments

Theme images by anzeletti. Powered by Blogger.